
মো. মতিয়ার রহমান : ভোটার সংখ্যা প্রায় ১১ কোটির বেশি। রাজনৈতিক সংস্কৃতি এখনো দলকেন্দ্রিক ও ক্ষমতাকেন্দ্রিক। নির্বাচনে অর্থ, প্রভাব, প্রশাসন ও সহিংসতার ভূমিকা অনেক বড়। ছোট দল বা বিকল্প মতামত প্রায়ই সংসদে জায়গা পায় না।
চলমান পদ্ধতি (FPTP) বাংলাদেশে সুবিধা:
——————
সহজভাবে নির্বাচন করা যায়।
প্রতিটি এলাকায় নির্দিষ্ট একজন জনপ্রতিনিধি থাকে, তাই জবাবদিহি স্পষ্ট। দ্রুত ফলাফল ঘোষণা করা যায়।
অসুবিধা: এক প্রার্থী ৩০–৩৫% ভোট পেলেও সহজে জিতে যায়, ফলে ৬৫–৭০% ভোটার কার্যত বঞ্চিত হয়। সংখ্যালঘু বা ছোট দলের প্রতিনিধিত্ব প্রায় অসম্ভব। বড় ৩ দলের বাইরে অন্যদের টিকে থাকা কঠিন। অনেকসময় ভোটকেন্দ্র দখল, প্রভাব খাটানোতে বিজয়ী হয়ে যায়, জনগণের আসল মত প্রতিফলিত হয় না।
পিআর পদ্ধতি (PR) বাংলাদেশে সুবিধা:
——————–
ভোটের সমান মূল্য থাকে—১০% ভোট মানেই প্রায় ১০% আসন। ছোট দল, সংখ্যালঘু ও নতুন শক্তিগুলোও সংসদে প্রবেশ করতে পারে।
জোট সরকার গঠন হয়, তাই একক কর্তৃত্ব কমে।আলোচনা ও সমঝোতা বাড়ে।
জনগণের মতামতের বহুমাত্রিক প্রতিফলন ঘটে।
অসুবিধা:
—————
বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোতে গণতন্ত্র দুর্বল, তাই জোট সরকারে অস্থিরতা বাড়তে পারে।
সিদ্ধান্ত গ্রহণ ধীর হতে পারে।
দলীয় নেতৃত্ব যদি কেন্দ্রীভূত থাকে, তবে আসল জনগণের কণ্ঠস্বর নয়, দলনেতার ইচ্ছাই প্রাধান্য পাবে।
বাংলাদেশে জনকল্যাণের দিক থেকে পিআর পদ্ধতি বেশি কার্যকর বলে আমি মনে করি। কারণ,
জনগণের প্রতিটি ভোট সমান মূল্য পাবে।
ভিন্নমত, সংখ্যালঘু, ছোট দল সংসদে কণ্ঠ তুলতে পারবে। গণতন্ত্রে অন্তর্ভুক্তি বাড়বে।



